কম্পিউটারের ক্যাশ মেমোরী (Cache Memory) কী? এবং ফ্ল্যাশ মেমোরী (Flash Memory) কী?

    আগের পোস্টে আমরা বিস্তারিত ভাবে জেনেছি যে, মেমোরী বা স্মৃতি কী? মেমোরীকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়? প্রাইমারি মেমোরী বা মেইন মেমোরী কাকে বলে? সেকেন্ডারি মেমোরী বা অক্সিলিয়ারি মেমোরী-ইবা কাকে বলে? এবার আমরা আরও দুই ধরনের মেমোরী, ক্যাশ মেমোরী (Cache Memory) এবং ফ্ল্যাশ মেমোরী (Flash Memory) সম্পর্কে জানবো।

What is Cache Memory? and What is Flash Memory? Computer Memory

ক্যাশ মেমোরী (Cache Memory) ~ ক্যাশ মেমোরী অতিদ্রুতগতি সম্পন্ন ছোটো আকারের মেমোরী ডিভাইস। এটি সিলিকনের তৈরি একটি অস্থায়ী মেমোরী অর্থাৎ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে এই মেমোরীর তথ্য মুছে যায়। ক্যাশ মেমোরী CPU এবং RAM এর মাঝখানে অবিস্থিত। CPU তে অতি দ্রুতগতিতে কাজ সম্পন্ন হয়, কিন্তু এতো দ্রুতগতিতে RAM তথ্যগুলিকে সিপিইউ বা প্রসেসরে পাঠাতে পারেনা। CPU এবং RAM এর মাঝখানে অবস্থিত হওয়ায় এই ক্যাশ মেমোরী CPU-এর চাহিদা অনুযায়ী তথ্য দিয়ে থাকে ফলে CPU তে তথ্য বিশ্লেষণের পাশাপাশি কম্পিউটারের গতিও বাড়িয়ে তোলে।

       সিপিইউ কোনো কিছু প্রসেস করার সময় প্রয়োজনীয় তথ্য যদি ক্যাশ মেমোরীতে পায় তখন সেই তথ্য নিয়ে প্রসেস করার পদ্ধতিতে ক্যাশ হিট (Cache Hit) বলে। আবার যদি সিপিইউ কোনো কিছু প্রসেস করার সময় প্রয়োজনীয় তথ্য ক্যাশ মেমোরীতে না পায় তখন ক্যাশ মেমোরী প্রয়োজনীয় তথ্য প্রাইমারি মেমোরী থেকে নিয়ে সিপিইউ বা প্রসেসরকে যোগান দেয়, তখন সেই পদ্ধতিকে ক্যাশ মিস (Cache Miss) বলে। ক্যাশ মেমোরী সধারনত দুই রকমের হয় –

L1 Cache বা Level 1 Cache ~ ইহা ইন্টারনাল ক্যাশ মেমোরী (Internal Cache Memory) নামেও পরিচিত। ইহা সিপিইউ-এর সঙ্গে একই চিপে যুক্ত থাকে।

L2 Cache বা Level 2 Cache ~ ইহা এক্সটারনাল ক্যাশ মেমোরী (External Cache Memory) নামেও পরিচিত। ইহা সিপিইউ-এর বাইরে অবস্থান করে।

ফ্ল্যাশ মেমোরী (Flash Memory) ~ ফ্ল্যাশ মেমোরী এক ধরনের স্থায়ী স্টোরেজ ডিভাইস। কম্পিউটারের সঙ্গে এই মেমোরী যুক্ত করার জন্য কম্পিউটার সিস্টেমের ইউনিভার্সাল সিরিয়াল বাস (Universal Serial Bus) বা USB পোর্ট ব্যবহার করা হয়। এই ডিভাইসে তথ্য সঞ্চয়ের পাশাপাশি সেই তথ্য মুছে ফেলা যায় এবং প্রয়োজন মতো তথ্য বা ইনফর্মেশন পুনরায় সঞ্চয় করা যায়। বর্তমানে বহুল ব্যবহৃত “পেন ড্রাইভ” হল এক ধরনের ফ্ল্যাশ মেমোরী। এখনকার সময়ে কম্পিউটার ছাড়াও অন্য অনেক ইলেকট্রিক যন্ত্রে যেমন ডিজিটাল ক্যামেরা, মোবাইল ফোন ইত্যাদিতে ফ্ল্যাশ মেমোরী বহুলভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ইহা আকারে ছোটো ফলে সহজে বহনযোগ্য। ফ্ল্যাশ মেমোরী (পেন ড্রাইভ)-এর ধারণ ক্ষমতা 1GB থেকে 256GB পর্যন্ত হতে পারে।

Post a Comment

0 Comments